সালেহ্ বিপ্লব: [২] ওয়াশিংটন ডিসির উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক বলেছেন, ভারত ও চীন, পশ্চিমা ও পশ্চিমের বাইরের বিশ্বসহ উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষভাবে পারদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

[৩] ডয়চে ভেলের বরাত দিয়ে ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কুগেলম্যান বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বির কাছে নতি স্বীকার করার পরিবর্তে ভারসাম্য বজায় রাখার শক্তিশালী ক্ষমতা দেখিয়েছে। 

[৪] কুগেলম্যান বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ কোনো পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য হবে না এবং পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে।

[৫] তিনি বলেন, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতার সুবিধা ভোগ করছে।

[৬] এই বিশ্লেষক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিংয়ের সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমরা এমন একটা তথ্য পেয়েছি, যে চীন বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটিতে অর্থায়ন করছে। ভারসাম্য বজায় রাখার সক্ষমতা হিসেবে ঢাকার সাফল্যের এটি আরেকটি প্রতিফলন।

[৭] বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান তার এক কলামে বলেন, এই অর্জনের মূলে কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, তাঁর দূরদর্শিতা, কূটনৈতিক অভিজ্ঞান, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা। একজন দেশপ্রেমিক এবং সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা ও ব্যাপ্তি যোগ করে তাকে আরো শক্তিশালী, টেকসই, সম্প্রসারিত ও অর্থবহ করে তুলেছেন। তাইতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অর্জন উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

[৮] তিনি আরো বলেছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না যে তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে যথাযথ অনুধাবন, বিশ্লেষণ ও অনুসরণ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কূটকৌশল সঠিকভাবে প্রয়োগ করা এবং বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার দৃঢ় মনোবল। নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর প্রজ্ঞা ও কূটনৈতিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা এ ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা রেখেছে। আধুনিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি উন্নত বাংলাদেশকে সম্ভব করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর বাংলাদেশের জনগণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং থাকবে। আর এই আস্থাকে সম্বল করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে শেখ হাসিনার হাতেই।

 সম্পাদনা: ইকবাল খান